আলমডাঙ্গা শহরে জানজটের কারণে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ইজিবাইক , পাখিভ্যান ও মোটরসাইকেল বৃদ্ধিতে শহরে চলাচলে প্রতিনিয়ত বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। স্কুল কলেজ ছুটির পর শিশু কিশোরদের রাস্তা পারাপারে ভোগান্তিসহ দেখা দিচ্ছে মারাত্মক দূর্ঘটনা।
এ নিয়ে অভিভাবকগণ থাকেন চরম আতঙ্কে। বেপরোয়া যান চলাচলে অহর অহর ঘটছে দুর্ঘটনা। বেশ কিছু দিন যাবৎ লাটাহাম্বা, অবৈধ-ট্রলি, বেটারি চালিত অটোরিকশা, নছিমন-করিমন, পাখি ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনের ধাক্কায় প্রায়ই পথচারী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অল্প বয়সী তরুণ কিশোরদের বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোয় দূর্ঘটনা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে আলমডাঙ্গার হাইরোডে রাজত্ব চলে অটো ও পাখিভ্যানের।
আরো পড়ুন=>> কৃষকের কাছ থেকে বাজারে গেলেই সবজির দাম দ্বিগুণ
যত্রতত্র যেখানে সেখানে দাড়িয়ে দুই একটা যাত্রী নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত জ্যাম সৃষ্টি করে। আলমডাঙ্গা হাইরোডে কলেজ মোড়ে ও আলিফ উদ্দিন রোডে প্রায়ই দূর্ঘটনার ঘটতে দেখা যায়।
হাইরোডের বাসিন্দা সাবেক চেয়ারম্যান এম এ আলম মন্টু বলেন, যে আকারে মানুষ ও গাড়ি বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে আলমডাঙ্গা হাইরোডে একটা ট্রাফিক ব্যাবস্থা চালু করা উচিৎ।
আলমডাঙ্গা কলেজ মোড়ের পদ্মা অটোর মালিক শোফিক এলাহি বলেন, মাঝে মধ্যেই কলেজ মোড়ে দুর্ঘটনা হয়। বিশেষ করে যখন স্কুল কলেজ গুলো ছুটি হয় কলেজ মোড় থেকে চারতলা পর্যন্ত প্রচন্ড ভিড় হয় সেই সময়ের দুর্ঘটনা বেশি হয় ।
স্থানীয়দের দাবি আলমডাঙ্গা হাইরোডে টাফিক ব্যবস্থা চালু করার জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে অতিদ্রুত আলমডাঙ্গা হাইরোডে একটা ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করা হোক।