টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে মেহেরপুর ভৈরব নদের ভিন্ন চিত্রটি আজ লক্ষ্য করা গেছে। ভারতের অংশ থেকে ধেয়ে আসা এই ভৈরব নদীটি দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে নদীর যে বহমান স্রোত তার লক্ষ্য করা যায় না। যদিও ভৈরব নদীটি পুর্নখনন করা হয়েছে।
কুতুবপুর ইউনিয়ন বাংলাদেশ শেষ সীমানার মধ্য দিয়ে এই নদীটি প্রবেশ করেছে মেহেরপুর শহরের উপর দিয়ে, এবং বয়ে চলেছে মেহেরপুর জেলা সীমান্ত পেরিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার ভিতরে সুবলপুর নামক স্থানে যেয়ে চুয়াডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা নদীর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন=>> বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম
একসময় এ নদীতে দেশী ভিন্ন ভিন্ন জাতের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো মেহেরপুরের কিছু জেলে সম্প্রদায় পরিবার। আজ যেন সেটা কল্পনা অতীত হয়ে গেছে নদীর বহমান কোন স্রোত নেই, মাছের বংশ বিস্তারের কোন ব্যবস্থা নেই।
তবে অনেক অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, ও সামাজিক দায়িত্বশীল মানুষের উদ্যোগে অনেক সময় মৎস্য পোনা অবমুক্ত করা হয়। যার ফলে বর্শি ও ছিপ দিয়ে মাছ ধরা কিছু কিছু মৎস্য শিকারি বিকেলের দিকে লক্ষ্য করা যায় নদীর পাড়ে।
কিন্তু সরজমিনে আজকে চিত্রটা ভিন্ন, টানা দুই দিন বৃষ্টির ফলে পানির নাব্যতা অন্তত দুই ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পানির স্রোতের দেখা মেলেছে।
এ সময় উৎছুক কিছু জেলে পরিবারের সদস্য ঠেলা জালি ও খ্যাপলা জাল নিয়ে মৎস্য শিকারের চেষ্টা করছে লক্ষ্য করা যায়। মেহেরপুর সদর থানার নিচে ব্রিজ ঘাটে দেখা মিলল অজিত রায় হালদারপাড়া বিমল হালদার, কিছু কিছু দেশীয় ছোট প্রজাতির মাছ তাদের পাতিলে লক্ষ্য করা যায়।
কেমন হচ্ছে মাছ জানতে চাইলে, জবাবে অজিত রায় বলেন, একটু উপর বৃষ্টি হলে ভৈরবের নব্যতা বৃদ্ধি পেলে অনেক মাছ পাওয়া যাবে, ভৈরবে পানি নাব্যতা সংকটের কারণে মাছ বংশবৃদ্ধি করতে পারছে না। একটু বৃষ্টি হলেই পুটি মাছ খৈলশা মাছ চ্যাং মাছ টেংরা মাছ এগুলা এমনিতেই বৃদ্ধি পায়।
অনাবৃষ্টির কারণেই মাছ বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। তারপরে ভৈরবের পানির অবস্থা খুব ভালো না, পানির নিচে অনেক আগাছা জন্মেছে মাছ অবাধে চলাচল করতে পারে না। চলতি মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা মৎস অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট সকলে উদ্যোগ নিয়ে যদি এই ভৈরবে এই সময় কিছু মৎস অবন্মুক্ত করা হয় তাহলে এই মাছগুলো দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারবে।