চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রেশমা খাতুন (৪০) নামে এক নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই নারীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। আহত রেশমা খাতুন একই গ্রামের রতন মন্ডলের স্ত্রী।
রেশমা খাতুনের মেয়ে পিয়া খাতুন ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, আমার দাদার সম্পত্তি নিয়ে চাচা ও চাচাতো ভাইদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। জমিজমা মাপজোক না করেই ছোট চাচি ফাহিমা জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
আরো পড়ুন=>> টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে পাল্টে গেছে ভৈরব নদের চিত্র
বাবা অসুস্থ থাকায় এ বিষয়ে মা নিজেই গত পরশু আলমডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয়পক্ষকে বসে মিমাংশার জন্য বলেন।
এরপর গত বৃহস্পতিবার সকালে আমার মা মধুপুর গ্রামে গেলে মায়ের চাচা শ্বশুর ওহি উদ্দিন, আমার চাচাতো ভাই আশিক, শাহেদ, ছোট চাচি ফাহিমাসহ কয়েকজন হামলা চালায়।
পুলিশের কাছে কেন অভিযোগ করা হলো, ‘পুলিশ আসল কেন’ বলেই মাকে মাটিতে ফেলে সারা শরীরে কিল-ঘুষি, লাথি মারতে থাকে তারা। এমনকি স্পর্শকাতর স্থান অর্থাৎ বুক, যৌনাঙ্গেও লাথি মারে তারা। এক পর্যায়ে মায়ের পেট ফুলে যায় এবং যৌনাঙ্গে লাথি মারা হলে সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়।
মা অচেতন হয়ে পড়লে তারা প্রায় ২ ঘণ্টা যাবত মাটিতে ফেলে রাখে। জ্ঞান ফিরলে পানি চাইলেও তারা পানি পর্যন্ত দেয়নি। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া বলেন, এই বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।