ভরা বর্ষায় বৃষ্টির দেখা নেই: দুশ্চিন্তায় পাট চাষি

আষাঢ় পেরিয়ে চলছে শ্রাবণ মাস। তবুও চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা নেই। এবছরে জীবননগরে পাটের বাম্পার ফলন হলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার কারনে কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়ে গেছে।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে পাট গাছ গুলো বেশ বড় হয়ে গেছে। সপ্তাহ খানেক পর থেকে জমির পাট গাছ কেটে পেঁচানোর জন্য পাট জাগ দেওয়া শুরু করবে চাষিরা। তবে এলাকার পুকুর, খালবিল, নদীনালা, ছোট-বড় জলাশয়ে পাট জাগ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি না থাকায় বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছে চাষিরা।

উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের পাটচাষি আবুল হোসেন বলেন, সোনারচারা মাঠে এবার দুইবিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। পাট গাছ ভালো হলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার কারনে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। সপ্তাহ খানিক পরে পাট কাটাব এর মধ্যে বৃষ্টি না হলে সমস্যায় পড়ে যাবো।

আরো পড়ুন=>> গাংনীর গরু ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

স্যালো মেশিনের সাহায্যে গর্ত বা খালে পানি বোঝাই করে পাট পঁচানোর জন্য জাগ দিলে খরচ অনেক বেশি পড়ে যায় এবং পাটের রং ভালো না হওয়ার কারনে ভালো দাম পাওয়া যায় না।

উপজেলার আরেক পাট চাষি শানিন উদ্দীন বলেন, এবার পাট গাছ অনেক ভালো হয়েছে দেখছি তবে এখন পর্যন্ত কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ার কারনে খুব টেনশনে আছি। যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হয় তাহলে পাটগাছ গুলো শুকিয়ে পাঠখড়ি করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।

পাটচাষি জমির উদ্দিন বলেন, ভুট্টা কাটার পর দেড় বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। পাটগাছ আল্লাহর রহমতে ভালোই হয়েছে কিন্তু পাট জাগ দেওয়া নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।

যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হয় তাহলে গাড়ী ভাড়া করে দুরের নদীতে পাট জাগ দিতে হবে। এতে খরচ অনেক বেশি পড়ে যাবে। পাট চাষে এমনিতেই শ্রমিক খরচ বেশি লাগে। অতিরিক্ত খরচ হলে লাভের মুখ দেখতে পাবো না।

সোনালী আঁশের সোনালী স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে এলাকার খাল, বিল ও বাওড় গুলো পাট জাগ দেওয়ার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে পাট চাষিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *