বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে সরকারী কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বিসিএস পরীক্ষাসহ গত ১২ বছর ধরে ৩০ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ব্যাপারে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আবেদ আলীসহ ৭ জন। আদালত আবেদ আলীর ছেলেসহ মামলার ১০ আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
গণমাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আবেদ আলীর কাছে জিজ্ঞাসা করা হয়, প্রশ্নফাঁসে কত টাকা ইনকাম করেছেন? জবাবে আবেদ আলী বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসে যত টাকা কামাই করেছি, সব খরচ করেছি আল্লাহর রাস্তায়।’মূলত, একজন গাড়িচালক হয়ে কীভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হলেন, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। অনেকেই আবেদ আলী ও তার ছেলেকে নিয়ে ট্রল করছেন।
ঠিক এমন সময়ে আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে অলাভজনক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) একটি ছবি পোস্ট করেছে। ছবিতে একজন বাবাকে শিশুদের মতো হামাগুড়ি দেওয়া অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। সাথে লেখা, আপনার বাবাকে ‘টিকা’ দিন। বাস্তবে, এই টিকা কোনো রোগ প্রতিরোধের জন্য নয়, বরং দুর্নীতি প্রতিরোধে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) পোস্টের ক্যাপশনে লিখা :- ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে আওয়াজ উঠুক ঘর থেকে; বাবাকে টিকা দিন, দরকার হলে নিজেও নিন’
এছাড়াও সম্প্রতি আলোড়ন তুলেছে দুর্নীতির দায়ে সম্প্রতি ওএসডি হওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের সম্পত্তির তথ্যও। দুর্নীতির এই তালিকায় রয়েছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদও।
প্রসঙ্গত, রোববার (৭ জুলাই) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১২ বছরে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের পেছনে জড়িত পিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন– উপপরিচালক মো. আবু জাফর, উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির, সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান।