গেল জুলাই মাসে ঢাকা থেকে দর্শনা পর্যন্ত সরাসরি দুটি ট্রেন চালু হবার কথা থাকলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। জুলাই মাস শেষে আগস্ট চলে আসলেও এনিয়ে কোনো আদেশ-নির্দেশ আসেনি। দেশে বর্তমানে চলা অদ্ভুত পরিস্থিতির কারণেও এটা হতে পারে সচেতন মহল মনে করছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে গত জুন মাস জানানো হয়েছিলো যে, ঢাকা-দর্শনা রুটে চলবে নতুন দুটি ট্রেন। এরমধ্যে ঢাকা-দর্শনা রুটে প্রথম ট্রেনটি দর্শনা থেকে সকাল সাতটায় ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে দুপুর ১২টায় এবং ঢাকা থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে দর্শনায় পৌঁছাবে বিকেল ৪টায়।
আরো পড়ুন=>> আলমডাঙ্গায় মায়ের অভিযোগে মাদক সেবী ছেলেকে কারাদন্ড
দ্বিতীয় ট্রেনটি ঢাকা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টায় ছেড়ে গিয়ে দর্শনায় পৌঁছাবে ৯টা ৪০ মিনিটে এবং দর্শনা থেকে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে পরদিন ভোর ৫টায়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়- খুলনা থেকে ঢাকা কুষ্টিয়া, মোবারকগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর রেলস্টেশন হয়ে ঢাকাগামী সরাসরি চলাচলকারী তিনটি ট্রেন চিত্রা, বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস সরিয়ে নিয়ে যশোরের রুপদিয়া বা পদ্মবিলা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে।
যারফলে এ রুটে চলবে নতুন দুটি ট্রেন। বর্তমানে লোকাল, মেইল, কমিউটার ও আন্তঃনগর এই চার ধরনের ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া অন্যদিকে খুলনা থেকে রাজশাহী, উত্তরবঙ্গ চিলাহাটি ট্রেন আগের মতোই চলাচল করবে বলে সেসময় জানাই রেল কর্তৃপক্ষ।
চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী আল মাহমুদ বলেন, সড়ক লাইনের মতো ট্রেন লাইনও ভাগ হচ্ছে। আমাদের এ অঞ্চলের নতুন ট্রেন দুটি এখনো চালু হয়নি বলে জেনেছি। ট্রেনের সিডিউল তো আগের মতো আছে শুনছি।
এছাড়া আইনজীবী পলাশ বলেন, জুলাই নতুন দুইটি ট্রেন চালু হবার কথা শুনেছি। তবে আগস্ট মাস চলে আসলো এখনো চালু হয়নি। দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, আশা করছি, দ্রুত ট্রেন দুটি চালু হবে।
দর্শনা রেলওয়ে বুকিং সহকারী মিন্টু কুমার রায় বলেন, গত জুলাই থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের মাস্টার প্ল্যান চালু হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। এখনো ওইভাবে চালু হয়নি বলে জেনেছি। যাহোক নতুন রুটের কর্যক্রম শুরু হলে রেলওয়েতে কর্মরত ব্যক্তিদের অনেক সুবিধা হবে। ট্রেনের চাপ কম থাকবে, এতে দুর্ঘটনার হারও কমে আসবে।
বিশেষ করে দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার যাত্রীদের সুবিধা হবে। দিনে ঢাকায় গিয়ে আবার দিনে কাজ শেষ করে চলে আসতে পারবে। অন্যদিকে ট্রেনের টিকিটও সব সময় সহজে মিলবে।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মো. মিজানুর রহমান বলেন, শুনেছি বাংলাদেশ রেলওয়ের মাস্টার প্ল্যান চালু হলে আমাদের রুটে নতুন শিডিউল করে দুটি ট্রেন দেওয়া হবে। তবে এ সংক্রান্ত কোনো আদেশ-নির্দেশ এখনো পাইনি। আরও শুনেছি এ রুটের চলমান তিনটি ট্রেন যশোর হয়ে ঢাকা যাবে।