তিনটি গরুই ছিল তাদের শেষ সম্বল। গরু তিনটি হারিয়ে স্ত্রী শাহনাজ পারভীন ও রুবেল মুন্সি পাগল প্রায়। গত রোববার বিকেলে মাত্র আধা ঘণ্টার ব্যবধানে গরু তিনটি পর্যায়ক্রমে মারা যায়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুবেল মুন্সি করিমপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের বাড়ি দেখাশোনা করার পাশাপাশি পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
দুপুরে ওই গ্রামের মাঠ থেকে ডাটা শাক কেটে নিয়ে গরু তিনটিকে খাওয়ানো হয়। তার কিছু সময় পরই গরুগুলো কাপতে কাপতে একের পর এক মারা যায়। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবেশীরাও ছুটে আসে এবং তাদের মাঝেও আহাজারি করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ করে পাশে দাঁড়ানোর দাবি করেন স্থানীয় ও ভুক্তভোগিরা।
ভুক্তভোগি রুবেল মুন্সী বলেন, মাঠ থেকে ডাটার শাক খাওয়ানোর ফলে গরু তিনটি চোখের সামনে মারা গেল। নিজেরা কম খেয়ে গরুর খাবার খাওয়ায়েছি। আজ আমার আর কিছুই নেই।
লিটন নামে এক ব্যক্তি বলেন, মতিয়ার রহমান ঝিনাইদহ শহরে থাকায় এই বাড়িতে রুবেল ও তার পরিবার বসবাস করে। রুবেলের মাঠে কোনো জমি নেই। ছোট বেলায় মা মারা গেছে। এখানে বসবাস করে গরু তিনটি বড় করেছিলেন। প্রত্যেকটা গরুর বাছুর হবে। এটি হৃদয় বিদারক ঘটনা। সমাজের বিত্তবানদের পাশে থাকার আহবান জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজিৎ কুমার মন্ডল জানান, মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গরু তিনটির দাম প্রায় ৬ লাখ টাকা। প্রত্যেকটি গরুই ৬ থেকে ৯ মাসের বাচ্চা রয়েছে। বৃষ্টির পানি পেয়ে ডাটা শাকের যে কচি পাতা হয়েছে তা খাওয়ানোর ফলে নাইট্রেড বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে গণটিকা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।