মেহেরপুরে শিশু অপহরণকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

চুয়াডাঙ্গা থেকে অপহৃত তানজিল হোসেন (১২) নামে এক শিশুকে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বিদ্যাধরপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অপহরণকারী মো. রনিকে (৩২) গণপিটুনি দিয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনগণ।

অপহরণকারী রনি মেহেরপুর পৌর এলাকার কেশবপাড়ার ইসমাইলের ছেলে এবং অপহৃত শিশু তানজিল হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সাতগাড়ি এলাকার আনোয়ারের ছেলে। তবে ঘটনার পর এখনও মুজিবনগর থানা পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি ঘটনাটি অপহরণ কি না।

বুধবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রনি শিশুটিকে নিয়ে বিদ্যাধরপুর ব্রিজ এলাকায় এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। তাদের গতিবিধি দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় অপহরণকারী রনি উল্টো পাল্টা উত্তর দিলে, স্থানীয় জনগণ তাকে উত্তম মধ্যম দেন এবং মুজিবনগর থানায় ঘটনাটি অবহিত করেন।

আরো পড়ুন=>> বাছাইপর্বে কুষ্টিয়ার দুই যমজ বোন

খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা থেকে এসআই সাজ্জাদের নেতৃত্বে একটি দল গিয়ে দুজনকে হেফাজতে নেয়। অপহৃত শিশু তানজিল বর্তমানে থানা পুলিশ হেফাজতে এবং অপহরণকারী রনি পুলিশ প্রহরায় মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে শিশুটি ভ্যানসহ হারিয়ে যাওয়ার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছিলো। এজন্য তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে। বিষয়টি অপহরণ নাকি অন্য কোনো ঘটনা আছে সে বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা তদন্ত সাপেক্ষে বলতে পারবে।

অপহৃত শিশু তানজিল জানায়, সে একজন ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান চালক। দিন ৬০০ টাকা চুক্তিতে রনি তাকে ভাড়া করে মেহেরপুরে নিয়ে যান। এরপর ভাড়া না মিটিয়ে ৩ দিন যাবৎ এদিক সেদিক ঘোরাতে থাকেন।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত জানান, শিশুটি ভ্যানসহ নিরুদ্দেশ হওয়ার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছিল। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই সৈকত সেটির তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি মুজিবনগর থানায় এলে অপহৃত শিশু ও অপহরণকারীকে তার কাছে হস্তান্তর করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা বলতে পারবে বিষয়টি অপহরণ কি না।