দামুড়হুদায় দলকা লক্ষিপুর গ্রামের পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুজনকে কুপিয়ে ও মারপিট করে রক্তাক্ত জখমের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজন দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি আছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে গোপালপুর দাখিল মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে রক্তাক্ত জখম রাকিব হোসেন এর পিতা বিল্লাল হোসেন বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখত এজাহার দায়ের করে।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুর রহিম (৪৪) সাথে উপজেলার দলকা লক্ষিপুর গ্রামের মিজানুর রহমান লিটন (৪২) দীর্ঘ দিন যাবত পূর্ব বিরোধ চলে আসছিলো।
আরো পড়ুন=>> যশোরে বিধবার মাটি চাপা মৃতদেহ উদ্ধার, নারীসহ আটক-৩
রই জের ধরে শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে আব্দুর রহিমরা দেশিয় তৈরী ধারালো অস্ত্র পাতি নিয়ে লক্ষিপুর গয়েশ্বপুর পাড়ায় মিজানুর রহমান এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
এরই জের ধরে সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬ টার দিকে দলকা লক্ষিপুর গ্রামের বেলাল হোসেন এর ছেলে রাকিব (১৭) এবং চাঁদ আলীর ছেলে ফুরাদ আলী (৩৫) মটর সাইকেল যোগে ভালাইপুর মোড়ে ঔষধ কেনার জন্য যাওয়ার সময় গোপালপুর দাখিল মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে আব্দুর রহিমরা তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্রপাতি দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
রহিমদের হামলায় রাকিবের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় তার সাথে থাকা ফুরাদ আলীও মারাত্মক আহত হয়।
তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখেন।
রাতেই রাকিবের পিতা বিল্লাল হোসেন বাদি হয়ে আব্দুর রহিম কে এক নাম্বার আসামি করে নামিয় ৬ জন সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখত এজাহার দায়ের করে।
এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি তদন্ত শেখ মাহবুবুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক পক্ষ এজাহার দায়ের করেছেন। মামলার বিষয়টি পক্রিয়াধীন।