প্রতিবন্ধী হওয়ায় কোনো কাজ করতে পারেন না জিয়ারুল ইসলাম (৩২)। অন্যের কাছ থেকে ধার-দেনা করে ব্যাটারিচালিত একটি পাখিভ্যান কেনেন তিনি। ভ্যানটি চালিয়েই পরিবারের চার সদস্যের মুখে আহার জোগাতেন তিনি। কিন্তু ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে পাখিভ্যানটি হারিয়ে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
জিয়ারুল মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের উত্তরপাড়ার নায়েব আলীর ছেলে। জিয়ারুল বলেন, শনিবার (১৩ জুলাই) রাত ১০টার দিকে পাখিভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে গাংনী উপজেলা শহরে যাচ্ছিলাম।
হাড়িয়াদহ ও মালশাদহ মাঠের পৌঁছানো মাত্রই ৫-৭ জন ছিনতাইকারী আমার পাখিভ্যানটি ছিনিয়ে নেই। পরে চোখ বেঁধে সড়কের পাশেই মাঠের মধ্যে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।
আরো পড়ুন=>> আলো ঝলমলে রূপের শহর রূপপুর
একই সময়ে ওই সড়কে যাত্রী বোঝাই আলী হোসেন নামে অপর ভ্যান চালকের পাখিভ্যান ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায় চক্রটি। সে সময় আলী হোসেন ও তার ভ্যানের যাত্রীরা চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে রাতেই গাংনী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাইপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভ্যানটি উদ্ধারসহ ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চালছে।
এদিকে রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরের দিকে মেহেরপুর অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলামসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা ঘটনাস্থলের পাশেই ইটভাটার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন।