গীতিকবি দেহী ফারুক বাউল গানের অন্যতম গীতিকার

বাংলাদেশী গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী অনন্ত চেতনার গীতিকবি দেহী ফারুক । যিনি আধ্যাত্মিক গীতি গান, গীতিকবিতা, দর্শন শাস্ত্র রচনা ও সুর করেন। তার রচয়িত সমস্ত গানগুলো ফারুকগীতি নামে প্রকাশিত হচ্ছে।

গীতিকবি দেহী ফারুক

গীতিকবি দেহী ফারুক চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। গীতিকবি দেহী ফারুক দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সুনামধন্য বিদ্যাপীঠ সরকারি মাইকেল মধুসূধন কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক করেন।

বাংলায় স্নাতক শেষ পর্বের পড়াকালীন সময়ে দেহী ফারুকের মধ্যে অনন্ত সাধন দর্শনের ভাব উদয় হয়। এরপর থেকেই তিনি সত্য দর্শনের মাঝে ডুবে যান। রচনা করতে থাকেন একের পর এক আধ্যাত্মিক গীতি গান, গীতিকবিতা ও দর্শন শাস্ত্র।

দেহী ফারুক এর রচয়িত প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০০৩ সালে ও দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালে। এরপর ১৩ বছর তার কোনো অ্যালবাম বা গান প্রকাশিত হয়নি। ১৩ বছরের লম্বা বিরতি ডেঙিয়ে ২০১৮ সাল থেকে আবারও গান প্রকাশ করা শুরু করেছেন। এ পযর্ন্ত তিনি তার নিজ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে ফারুক গীতি’র ব্যানারে ১৯টি ভিডিও অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন।

তার সংগীতকর্মগুলো ইউটিউবে Faruk Geeti ও Dehi Faruk চ্যানেলে প্রকাশ করে থাকেন। কয়দিনের বসত, কেয়ামতের দিন, হাসন রাজার গোঁফ, বাইচা রবে মন, এক খোলা আকাশ, মসজিদে আযান দিতে আয়, জাতের যেখানে ছুটি, প্রাণের মানুষ হাসুক, আমার বাংলা ভাষা, আল্লাহু যার প্রাণ, দিল হরা ফকিরি, নরকের সাত চুলা তোমারী মহিমা গীতি ও কবি রবীন্দ্রনাথ দেহী ফারুকের রচয়িত উল্লেখযোগ্য অডিও অ্যালবাম।

তিনি জীবন ও জগৎ নামে একটি দর্শন শাস্ত্রও রচনা করেছেন। এবং এ যাবত তিনি সহস্রাধিক গীতিকবিতা ও গীতি গান রচনা ও সুর করেছেন। যা মানব কল্যাণে এক অনন্য বাণী।

এ যাবত তিনি তার নিজ অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান “দেহী ফারুক রেকর্ডিং মিডিয়া” ও “ফারুক গীতি” ইউটিউব চ্যানেল থেকে ৩০০ টিরও বেশি গীতি গান ভিডিও আকারে প্রকাশ করেছেন। এবং এখন পযর্ন্ত তার নতুন নতুন গান প্রকাশ অব্যাহত রেখেছেন।