বিলাপ করে সোনালী অতীতকে পায়ে ঠেলে দেওয়ার কোন মানে হয় না। তাতে অভাব এবং স্বভাব দুই টাই যায়, কিছু আসে না! চিন্তায় প্রতিবন্ধক, কর্মহীন মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্রের বোঝা। এরা সর্বদাই দুলা-ভাই ডাক শুনতে ভালোবাসে, কোন কাজে লাগে না। সমাজে এই দুলাভাই গোছের মানুষ গুলো অন্যের গোলাই আগুন দিয়ে খই খেতে ওস্তাদ। এরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরে বক ধার্মিক সেজে প্রজাপতির মতো সমাজে রং ছড়ায়, কিন্তু বিপদে পড়লে আল্লাহর কাঁদে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে নিজেরা নিরাপদে বাস করে। হা-হুতাশ করে সময় পার করে। এরাই আবার সুযোগ পেলে ‘শোক সভার’ সভাপতির পদ অলংকৃত করে। এক কলসি অশ্রু বিসর্জন দিয়ে এঁটেলের মত ‘নকল সম্পর্ক’ টিকিয়ে রাখে। আজ এই দুলা-ভাই গোছের লোক গুলোর দাপটে, আমরা ভ্যাগা-চেক্যা খেয়ে চিন্তা শক্তি হারিয়ে ঠুটো জগন্নাথ হয়ে বসে আছি নিরুপায় হয়ে। কারণ পিট চুলকিয়ে পাশ কাটিয়ে যাওয়া ছাড়া, আমাদের আর কোন রাস্তা নেই। তবে আমরা শক্তহাতে সবল মনে বলতে চাই ; আজ হাতের শিকল ছিঁড়ে মনের শিকলে পড়েছে টান, নব দিগন্তে উদিত সূর্য আনিবে রঙিন সু-প্রভাত। এই নেগেটিভ দুলাভাইদের হাত থেকে মুক্তি চাই। বাঁচতে চায় স্বাধীন ভাবে মুক্তমনে।
লেখক: জহির রায়হান