মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ২ নম্বর তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস পচুর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নারী সদস্য দিপালী খাতুন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরের দিকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপির সংরক্ষিত (৪, ৫ ও ৬) নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দিপালী খাতুন।
অভিযোগের অনুলিপি কপি ৭৪ মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ একাধিক প্রেস ক্লাবে দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা বিশ্বাস পচু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য দিপালী খাতুন বলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির বিষয়ে সোমবার দুপুরে অভিযোগ ৭৪ মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিভিন্ন প্রেস ক্লাবে দেওয়া হয়েছে।
দিপালী খাতুন আরও বলেন, টিআর, কাবিখা, এলজিইডি ১%, ৫%,১০%,১৫% এডিবি, এলজিএসপি, হোল্ডিং ট্যাক্স ও কর্মসৃজন প্রকল্পের অর্থ পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করে নিজের মনগড়া ভুয়া প্রকল্প তৈরি করে নিজের মনগড়া অনুগত সদস্যদের মাধ্যমে দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি ও লুটপাট করে ইউপি সদস্যদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে রেজুলেশন খাতায় সই করিয়ে নেন।
এছাড়া তিনি বলেন, সরকারের সেবামূলক টিসিবির পণ্য বিতরণের তালিকা চেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকির শিকার হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। কর্মসৃজন প্রকল্পে চেয়ারম্যান তার মনগড়া ভুয়া লেবারের তালিকা তৈরি করে বিভিন্ন মোবাইল সিমের সহযোগিতায় সরকারের উন্নয়ন ও অর্থ লুটপাট করে এবং ইউনিয়নের সাধারণ জনগণকে সেবা থেকে বঞ্চিত করে। প্রথম সভার ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠনের নির্দেশনা থাকলেও ক্ষমতার দাপটে অদ্যাবধি তা মানা হয়নি। ভিজিএফের চাল বিতরণের টোকেন পদ্ধতিতে অনিয়ম করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন, ২ নম্বর তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস পচুর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে পরবর্তীতে মতামত জানানো হবে।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস পচু এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য দিপালী খাতুন কর্মসৃজন কাজে ব্যবহৃত মোবাইলের সিম চেয়েছিল তাকে দেওয়া হয়নি বলেই সে আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ তুলেছে।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা আজকের খাসখবরকে বলেন, অভিযোগ পত্রটি এখন পর্যন্ত আমার সামনে এসে পৌঁছায়নি। অভিযোগপত্রটি এসে পৌঁছালে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।