নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব) বলেছেন, প্রিজাইডিং অফিসারদের পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি যে সাংবাদিকরা কেন্দ্রে ঢুকবে এবং তারা কোনো অনুমতি নেবে না। তবে ভেতরে গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করবে। এরপর তিনি যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারেন। তবে ভোটকক্ষে কোনো লাইভ বা সাক্ষাৎকার নিতে পারবেন না। কারণ ভোটগ্রহণে ডিস্টার্ব করা যাবে না।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের (প্রিজাইডিং অফিসার) ব্রিফিং অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, তবে একসঙ্গে শুধু দুজন সাংবাদিক একটি কক্ষে ঢুকবে। তারা শুধু গোপনকক্ষ ছাড়া সব স্থানের ভিডিও করতে পারবে। তবে কক্ষের বাইরে এসে প্রিজাইডিং অফিসারের বক্তব্য নিতে পারবে সাংবাদিকরা। গত সংসদ নির্বাচনের মতোই উপজেলা নির্বাচন হবে স্বুষ্ঠু ও সুন্দর। প্রিজাইডিং অফিসাররাও আমাদের এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, শৈলকুপায় সংসদ সদস্য পদে উপনির্বাচনে উপজেলাটিকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং যারা উত্তপ্ত আচরণ করে জেতার চেষ্টা করবে তাদের সেই সুযোগ আর নেই। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে কমিটি আছে, তারা যদি মনে করে বিজিবি, র্যাব আরও দরকার তাহলে আমরা সেই ব্যবস্থাও করবো। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
জেলা প্রশাসন ও জেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে সরকারি কেশব চন্দ্র কলেজে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হওয়া এ বিফ্রিং অনুষ্ঠান শেষ হয় সাড়ে ৪টার দিকে। অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৬৫ ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারদের সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে নানা দিকনির্দেশনা দেন। এসময় জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।