সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে যষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। এবার আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আলমডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমানকে সমর্থন দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য চুয়াডাঙ্গার রাজনৈতিক অঙ্গনের আলোচিত রাজনীতিবিদ দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তবে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় প্রকাশ্যে কোনো প্রার্থীকেই সমর্থন দেন নি। তাই এখন চায়ের কাপে ঝড় উঠেছে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা কার পক্ষে যাচ্ছেন।
এছাড়া তাকে নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও বিস্তর আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক এবং বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। কারণ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় শক্তিশালী মাঠ গুছিয়েছেন তিনি। এছাড়া সম্প্রতি আলমডাঙ্গা উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী জিল্লুর রহমানকে সমর্থন দেবার পর তার ভোটের মাঠ রয়েছে তুঙ্গে। তাই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সব প্রার্থীরা মনে করছেন- দিলীপ কুমার আগরওয়ালা যদি তার নেতাকর্মী নিয়ে কাউকে সমর্থন দেন, তাহলে সেই প্রার্থীই হবেন পরবর্তী উপজেলা চেয়ারম্যান। অর্থাৎ এই উপজেলা নির্বাচনে ‘গেম চেঞ্জার’ ব্যক্তি হলেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। এর মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও সাবেক কৃষক লীগ নেতা আজিজুল হক রয়েছেন। এই তিন প্রার্থীই দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সমর্থন পেতে ভোটের শুরু থেকেই জোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও আজিজুল হক বিভিন্নভাবে তাদের চেষ্টা-তদবীর চালিয়ে যাচ্ছেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সমর্থন পেতে।
নাম প্রকাশ না করে এক রাজনৈতিক নেতা বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচনে দিলীপ দাদা যে প্রার্থীকে সাপোর্ট দেবেন, তিনিই হবেন বিজয়ী। কারণ বর্তমান রাজনীতির মাঠে ক্লিন ইমেজ নিয়ে বিশাল নেতাকর্মীর বাহিনী দিলীপ কুমার দাদার পক্ষেই রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচনের ভোটের মাঠ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
উল্লেখ থাকে যে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও এই নির্বাচনকে ছাপিয়ে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে নিয়ে নানা আলোচনায় ঝড় উঠছে গ্রাম-শহরের চায়ের দোকানগুলোতে। তবে শেষটা দেখতে ২১ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।