চুয়াডাঙ্গায় টানা বেশকদিন ধরেই ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস দশা। বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় দিনে ও রাতে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত আর্দ্রতা কমবে না।
শুক্রবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮দশমিক ০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৫৫ শতাংশ।
রাত পোহালেই ২৩ চৈত্র, জেলায় এখন পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির দেখা নেই। চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা বেশ কয়েকদিন ধরে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির মাঝামাঝি। জেলায় বৃষ্টি না হওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। বেশি সমস্যায় পড়ছে খেটে-খাওয়া মানুষ। দুপুরের পর থেকে সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সূর্যের প্রখরতা, ভ্যাপসা গরম ও বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে গরম অনুভূত হচ্ছে। এদিন দুপুর ১২টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৯ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, গত কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। গত সোমবার ১ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২ এপ্রিল মঙ্গলবার ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ছিল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বৃহস্পতিবার ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। সাধারণ মানুষের সাথে রোজাদাররা কষ্টে আছেন।
চুয়াডাঙ্গা হাসান চত্বরে এক ভ্যান-চালক বলেন, যখন প্যাডেল মেরে রিকশা চালিয়েছি, তখনো এতো কষ্ট হয়নি। সামনে আর কয়েকদিন বাদে ঈদ, অতি গরমের কারণে মানুষ রাস্তায় কম বের হচ্ছে। এজন্য আমাদের ভাড়া হচ্ছে না। এজন্য ছেলেমেয়ে নিয়ে কষ্টে আছি।