ভারতে পাচার হওয়া ২০ কিশোর-কিশোরী দেশে ফিরলো

কাজের প্রলোভনে দালালদের মাধ্যমে ভারতে পাচারের শিকার হওয়া ২০ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোল দিয়ে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। এদের মধ্যে ১৭ জন কিশোরী ও তিনজন কিশোর।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে এসব পাচার হওয়া কিশোর-কিশোরীদের হস্তান্তর করা হয়। এরা বিভিন্ন মেয়াদে (৬ মাস-১ বছর) কারাভোগ শেষে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল হয়ে দেশে ফিরেছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের কলকাতার বাংলাদেশস্থ উপ হাইকমিশনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মন, শার্শার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত জাহানসহ বিজিবি, পুলিশ ও দুইদেশের মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তারা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মন জাগো নিউজকে বলেন, এ কিশোর-কিশোরীরা বিভিন্ন সময়ে ভারতে পাচারের শিকার হয়। পরে দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অনেক এনজিও সংস্থার যোগাযোগের মাধ্যমে মঙ্গলবার তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

জাষ্টিস অ্যান্ড কেয়ার এনজিওর এরিয়া কোয়ার্ডিনেটর মুহিত বলেন, পাচারের শিকার কিশোর-কিশোরীরা ভারতের পশ্চিবঙ্গ রাজ্যে পাচার হয়ে বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ পেশায় জড়িয়ে পড়ে। পরে সেদেশের পুলিশের কাছে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে ভারতের হাওড়া, ২৪ পরগণা জেলা, নদীয়া, কুচবিহার, কলকাতার শেল্টার হোমে থাকে প্রায় ছয় মাস থেকে এক বছর। ফেরত আসাদের যশোরে নিজ নিজ শেল্টারহোমে নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, দালালদের প্রলোভনে পড়ে এরা পাসপোর্ট ছাড়াই বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হয়। এরপর ভারতের পুলিশের কাছে তারা আটক হয়ে আদালতের মাধ্যেমে বিভিন্ন শেল্টার হোমে ছিল। আজ তাদের হস্তান্তর করেন ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
তিনি আরও জানান, ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে। সেখান থেকে জাষ্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামের একটি এনজিও সাতজনকে, রাইটস যশোর আটজনকে ও মহিলা আইনজীবি সমিতি পাঁচজনকে তাদের পরিবারের কাছে পৌছে দিতে গ্রহণ করবে।